১ নং প্রশ্নের উত্তর :
ক. মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
খ. যেসব মাধদ্যদেমর সাহায্যে সামাজিকভাবে মতামত বিনিময়, তথ্যের আদান-প্রদান বা আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পন্ন করা যায় তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপি, সাইস্পেস, ইউটিউব, আরকুট, গুগল প্লাস, বেশতো, লাইদিন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জনগোষ্ঠিকে সামাজিকভাবে পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে এসে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
গ. উদ্দীপকে জামানের প্রবাস জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা কল্পবাস্তবতা প্রযুক্তিটির কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করার জন্য সে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। বাস্তব নয়, তবে বাস্তবের ধারণা সৃষ্টি করতে সক্ষম এমন কল্পনা নির্ভর বিষয় অনুভব করার ত্রিমাত্রিক অবস্থা উপস্থপনকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা কল্পবাস্তবতা বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণরূপে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিমজ্জিত হয়ে যায়। তথ্য আদান-প্রদানকারী বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস সংবলিত চশমা, যবধফংবঃং, মষড়াবং, ংঁরঃ ইত্যাদি পরিধারন করার মাধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে বাস্তবকে উপলব্ধি করা হয়। একটি ঃুঢ়রপধষ ঠজ ভড়ৎসধঃ- এ একজন ব্যবহারকারী ত্রিমাত্রিক স্ক্রিন সংবলিত একটি হেলমেট পরে এবং তার মধ্যে দিয়ে বাস্তব থেকে অনুকরণকৃত অ্যানিমেটেড বা প্রাণবস্ত ছবি দেখে। ঞবষবঢ়ৎবংবহপব বা কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগতে উপস্থিত থাকার ভ্রমণ একটি গতি নিয়ন্ত্রণকারী সেন্সর দ্বারা প্রভাবিত করা হয়। গতি নিয়ন্ত্রণকারী সেন্সর এর মাধ্যমে স্ক্রিনে প্রদর্শিত ছবির গতিকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীর গতির সাথে মেলানো হয়। যখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীর গতির পরিবর্তন হয় তখন স্ক্রিনে প্রদর্শিত দৃশ্যের গতিও পরিবর্তিত হয়। এভাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারী কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগতের সাথে মিশে যায় এবং সেই জগতের একটি অংশে পরিণত হয়। আবার ভড়ৎপব-ভববফনধপশ সংবলিত ফধঃধ মষড়াবং পরিধান করলে তা স্পর্শের অনভূতি প্রদান করে এবং এ সময় ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছানুযায়ী ভার্চুয়াল পরিবেশের কোনো বস্তু তুলতে বা ধরতেও তা ব্যবহার করতে পারে। জামান একই ধরনের পরিবেশে গাড়ি চালানোর কৌশল রপ্ত করে। অন্যদিকে জামানের প্রবাস জীবনে ডেটা এন্ট্রির কাজটির জন্য কম্পিউটার প্রয়োজন। তাছাড়া কাজটি অন-লাইনে আউসোর্সিং- মাধ্যমেও করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূরে বসেও অবসরে নির্দিষ্ট শ্রম ঘণ্টায় কাজটি করা যায়।
ঘ. জামানের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। জামান দক্ষিণ কোরিয়াতে ড্রাইভার হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি নিয়ে আসে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে সে বিশেষ কৃত্রিম পরিবেশে গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। স্বল্প মূল্যের মাইক্রো কম্পিউটার প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ড্রাইভিং সিম্যুলেটর এর মাধ্যমে এ ধরনের ট্রেনিং প্রদান করা হয়। বর্তমানে সে ড্রাইভিং এর পাশাপাশি ডেটা এন্ট্রির কাজও করে থাকে। কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট্, ই-মেইল ইত্যাদি শেখার ফলে তার যোগাযোগ প্রক্রিয়া আরও সহজ গতিশীল, সাশ্রয়ী ও প্রাণবন্ত হয়েছে। জামান বর্তমানে সারাবিশ্বের জন্য দক্ষ এক জনশক্তি। প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে সে বিশ্ব বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করেছে। আর এর সবকিছুর পিছনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে তথ্য প্রযুক্তি। অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তির উপাদানগুলো ব্যবহার করেই জামান দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সুতরং উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় জামানের বর্তমান অবস্থার জন্য তথ্য প্রযুক্তি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।