জামিল একজন কৃষক গবেষক । তাঁর আবিষ্কৃত বীজ চাষ করে একজন কৃষক পূর্বেই ফসলের চেয়ে অধিক ফসল তুলল। ড. জামিল একদিন তাঁর বন্ধু তাকে চিকিৎসকের নিকট গালের অাচিঁল অপারেশনের জন্য গেলেন। বন্ধু তাকে স্বল্প সময়ে -২০ তাপমাত্রায় রক্তপাতহীন অপারেশন করলে। তিনি তৎক্ষণাৎ বাড়ি ফিড়ে এলেন।
ক. রোবটিকস কী ?
খ. ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. ড. জামিল গবেষণায কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ড. জামিল বন্ধুর চিকিৎসা পদ্ধতির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ পূর্বেক মতামত দাও।
ক. রোবটিক্স হলো এমন একটি শাখা যেখানে রোবটের নকশা বা ডিজাইন,গঠন, পরিচালিত প্রক্রিয়া, কাজ ও প্রয়োগক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
খ. ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি। বায়োমেট্রিক্স হলো মানুষের আচারণগত বৈশিষ্ট্য চিহিৃত করে মানুষের কোথাও প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি। এটা পর্যবেক্ষণকালীণ একক বা গুরুপ অনুযায়ী কাজ করে থাকে। বায়োমেট্রিক্স এক ধরনের কৌশিল যার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক কাঠামো আচার-আচারণ বৈশিষ্ট্য গুনাগুন ব্যক্তিত্ব প্রভুতি দ্বারা নিদিষ্ট ব্যক্তিকে চিহিৃত করে শনাক্ত করা হয়।
গ. উদ্দীপকে ড. জামিল গবেষণায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশলের আভিধানিক অর্থ বংশগতির প্রযুক্তিবিদ্যা। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করে কোনো জৈবিক অঙ্গের জেনোম জিন বিশ্লেষণ করে সরাসরি উন্নত মানসম্পন্ন জৈব যৌগ তৈরি করার কৌশল। এতে নতুন ডিএনএ কোনো মূল জিনে সংযোজন করে বা অবাস্থিত ডিএনএ বাদ দিয়ে কাঙিক্ষত বস্তুূর জিন তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে জৈব পারমাণবিক ক্লোনিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাকে genetically modifed organism (GMO) বলে । ড. জমিল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশলি পদ্ধতি ব্যবহার করে উন্নত জাতের ধান বীজ উৎপাদন করেছেন।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণনানুযায়ী ড. জামিল বন্ধুর গালের আচিল -২০ c তাপমাত্রায় স্বল্পসময়ে রক্তপাতহীন ভাবে অপারেশন করা হয়। এ ধরনের চিকৎসা পদ্ধতিকে ক্রয়োসার্জারি বলা হয়। মূলত বরফ শীতল তাপমাত্রায় কোষকলা ধবংস করার ক্ষমতাকে ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতি কাজে লাগোনো হয়। এক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল তাপমাত্রায় কোষকলার অভ্যন্তরে বলের আকৃতিবিশিষ্ট্য ছোট ছোট বরফের কৃষ্টাল তৈরি হয়ে আক্রান্ত কোষগুলোকে ধবংস করে ফেলে। এ যন্ত্রে সাধারণত শীতলকারী হিসেবে তরল নাইট্রোজেন অথবা আর্গন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। শরীরের বাইরের দিকে অবস্থিত অঙ্গের ক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল এ পদার্থ আক্রান্ত স্থানের কোষকলার ওপর তুলনা জড়ানো শলাকা বা স্প্রে করার কোনো যন্ত্রের সাহায্যে সরাসরি প্রয়োগ করা হয় । বর্তমানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি প্রযুক্তিটির সাফল্যজনক ব্যবহার লক্ষণীয়। বিশেষত ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতের চিকিৎসায় এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। যেমন- ত্বকের তিল, আঁচিল, মেছতা, বিভিন্ন ধরনের টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায় স্বল্প সময়ে রক্তপাতহীনভাবে আঁচিল চিকিৎসায় ক্রয়োসার্জারি খুবই কার্যকারি একটি কৌশল এক্ষেত্রে তাৎক্ষনিকভাবে বাড়িও ফিড়ে যাওয়া সম্ভব। সুতরাং সার্বিক বিবেচনায় ড. জামিল বন্ধু আচিল চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতি ব্যবহার করেন, যা যথাযথ হয়েছে।