সৃজনশীল প্রশ্ন ৫।ডাঃ ফারিহা শহরের কর্মস্থলে অবস্থান করেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।তিনি কৃত্রিম পরিবেশে অপারেশনের প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন ।
(ক)হ্যাকিং কী ?
(খ)’’যন্ত্র স্বংক্রিয়ভাবে কাজ করে’’-ব্যাখা কর।
(গ)ডাঃ ফারিহা কীভাবে চিকিৎনা সেবা দিয়ে থাকেন?ব্যাখা কর।
(ঘ)ডাঃ ফারিহার প্রশিক্ষনের ব্যাবহৃত প্রযুক্তিটি প্রাত্যহিক জীবনে কী প্রভাব রাখছেে? আলোচনা কর।
৫ নং সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর:
(ক)হ্যাকিং কী ?
উত্তর ক):অবৈধভাবে বা বিনা অনুমতিতে কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে কম্পিউটার ব্যাবহার করা ,তথ্য গায়েব করা,তথ্য চুরি করা,তথ্যের বিকৃতি ঘটানো বা অন্যের কম্পিউটারকে বিশেষ পন্থায় সম্পন্ন নিয়ন্ত্রন নেয়া হচ্ছে ।।অনৈতিক কাজ।এই ধরনের কাজকে কম্পিউটারের ভাষায় হ্যাকিং বলে।
(খ)’’যন্ত্র স্বংক্রিয়ভাবে কাজ করে’’-ব্যাখা কর।
উত্তর খ):যন্ত্র স্বংক্রিয়ভাবে কাজ করে-এই উক্তিটি দ্বারা রোবট যন্ত্রকে বোজানো হয়েছে।
রোবট হচ্ছে প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার নির্ভর এমন একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র ,যার দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূর্বে প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব।রোবট শব্দের অর্থ যন্ত্রমানব।মূলত রোবট হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা মানুষের অনেক দুঃসাধ্য ও কঠিন কাজ করতে পারে।এটি অত্যন্ত দ্রুত,ক্লান্তিহীন ও নিখুঁত কর্মশীল যন্ত্র।এর সাহায্যে যে কোন প্রতিকুল পরিবেশে কাজ করা এবং শিল্প কারখানায় উৎপাদন স্বংক্রিয়ভাবে করা যায়।এক কথায়,রোবট এমন একটি যন্ত্র ,যার কাজ স্বয়ংক্রিয়।
(গ)ডাঃ ফারিহা কীভাবে চিকিৎনা সেবা দিয়ে থাকেন?ব্যাখা কর।
উত্তর গ):উদ্দীপকে ডা. ফারিহা টেলিমেডিসিন প্রযুক্তি ব্যাবহার করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
টেলিমেডিসিন হলো এমন একটি চিকিৎসাসেবা যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোন অবস্থান থেকে দেশ বিদেশের বিশেষঙ্গ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা গ্রহন করা যায়।
তথ্যকে একস্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে আদান-প্রদানের জন্য ব্যাবহৃত প্রযুক্তিকে প্রযুক্তি বলে।
উদ্দীপকেরডা.ফারিহা শহরের কর্মস্থলে অবস্থান করেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ডা.ফারিহা শহরের কর্মস্থলে অবস্থান করেও রোগীর সাথে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করে সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পত্র দিয়ে থাকেন।ইন্টারনেটের কল্যাণে পা.ফারিহা তার মোবাইল নাম্বারটিদেশের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে পারেন।ফলে রোগীরা তার সাথে কথা বলতে পারেন।তাছাড়া তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন।জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধি নিয়ে গবেষনা এবং নতুন কার্যকরী ঐষধ উদ্ভাবনের মাধ্যমে সেবা দিতে পারেন।টেলিমেডিসিন বা ই-হেলথ প্রজেক্ট ব্যাবহার করেও চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারেন।এভাবেই ডা.ফারিহা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
(ঘ)ডাঃ ফারিহার প্রশিক্ষনের ব্যাবহৃত প্রযুক্তিটি প্রাত্যহিক জীবনে কী প্রভাব রাখছেে? আলোচনা কর।
উত্তর ঘ):চিকিৎসায় ডা.ফারিহার প্রশিক্ষনে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির,যা আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে গুরত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সেই প্রযুক্তি যা ত্রিমাত্রিক বিশ্ব সৃষ্টি করে এবং যার দৃশ্যমানতা বাহক জীবন্ত।প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্যেগকারী যোগান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা বলে।
প্রাত্যাহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যাবহার করে অবাস্তব সব দৃশ্যকে বাস্তব দৃশ্যে পরিণত করা হচ্ছে।যেমন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেমস তৈরী,কার চালনা প্রশিক্ষন,বিমান চালনা প্রশিক্ষন,ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স তৈরী,নগর পরিকল্পনা ইত্যাদী জটিল কাজে ব্যাবহার শুরূ হয়েছে।মাল্টিমিডিয়ার কল্যাণে শরীরের বিভিন্ন জটিল ও সংবেদনশীল অংশের গঠন যা স্বচক্ষে দেখলে যে অভিঙ্গতা লাভ করা যায় কম্পিউটার এর মাধ্যমে তা বার বার দেখার সুযোগ থাকায় তার চেয়ে বেশি অভিঙ্গতা লাভ করা সম্ভব হচ্ছে এবং ঐ সব অঙ্গ প্রতঙ্গ সম্পর্কে সঠিক ও বাস্তব ঙ্গান লাভ করা সম্ভব হয়েছে।আমাদের শরীরের বিভিন্ন জটিল ও দুর্লভ অপারেশনের সচিত্র সিডি পাওয়া যায় যা থেকে অভিঙ্গ চিকিৎসকগণ আরো অবিঙ্গতা লাভ করতে পারে।ডাক্তারী প্রশিক্ষনে শরীরের বিভিন্ন জটিল ও সংবেদনশীল অংশের গঠন যা স্বচক্ষে দেখলে যে অভিঙ্গতা লাভ করা যায় সেই অভিঙ্গতা লাভে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যাবহৃত হয়।মিলিটারী, বিমান ও নৌবাহিনীতে প্রশিক্ষনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে মিলিটারি,বিমান ও নৌবাহিনীতে অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষন,আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ব্যাবহার,বিমান চালনা প্রশিক্ষন ইত্যাদী কাজ নিখুঁতভাবে কম সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটিঃ বর্তমানে যাদুঘরে দর্শনার্থীদের বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় ভার্চুয়াল রিয়েরিটির মাধ্যমে উপস্থাপন করে দেখানো হচ্ছে।এতে দর্শনার্থীরা বিষয়টি দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বাস্তব ধারনা লাভ করছেন।
নগর পরিকল্পনায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটিঃ নগর পরিকল্পনায় ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রোয়োগ ঘটিয়ে নগর উন্নয়ন রূপরেখা,নগর উন্নয়ন নকশা,নগর যাতায়াত ব্যাবস্থা উত্যাদী সহজ ও আকর্ষনীয় ভাবে বর্ণনা করা যায় ।
এছাড়াও প্রাত্যাহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ড্রাইভিং শেখানো,ছবি আঁকা বা বর্ণ পরিচয় শেখানো,জ্যামিতি শেখানো ইত্যাদী কাজ করা হচ্ছে।