Site icon hscict.com.bd

2016-সিলেট বোর্ড-সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

sylhet-board

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭। আমার বন্ধু ডাঃ এনাম ফ্রান্সে গেছে ট্রেনিং এ। ভাইবারে বলল ফ্রান্সের সব কাজে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহৃত হয়।সেখানে ট্রেনিং সেন্টারে প্রবেশ করতে লাগে সুপারভাইজারের আঙ্গুলের ছাপ এবং অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করতে লাগে চোখ।আমি বললাম ’’বেশ মজাই তো’’ সে আর ও বলল ‘’গতকাল স্থানীয় বিনোদন পার্কে গিয়ে মাথায় হেলমেট ও চোখে বিশেষ চশমা দিয়ে চাঁদে ভ্রমনের অনুভূতি অনুভব করেছি’’।

ক)ক্রায়োসার্জারী কী ?

খ)”সল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম”-ব্যাখা কর।

গ)উদ্দীপকের আলোকে চাঁদে ভ্রমনের প্রযুক্তিটি বর্ণনা কর।

ঘ)উদ্দীপকে ট্রেনিং সেন্টার ও অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত প্রযুক্তিদ্বয়ের মধ্যে কোনটি আমাদের দেশে বহূল ব্যাবহৃত-বিশ্লেষনপূর্বক মতামত দাও।

৭ নং সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর:

ক)ক্রায়োসার্জারী কী ?

উত্তর ক): ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা অতি ঠান্ডায় অস্বাভাবিক টিস্যুর জীবাণু ধ্বংসের জন্য ব্যবহৃত হয় ।এক্ষেত্রে তরল-নাইট্রোজেন, কার্বন-ডাই অক্সাইড,আর্গন ও মিথাইল ইথার প্রোপেন ইত্যাদী ব্যাবহার করা হয় ।

খ)”সল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম”-ব্যাখা কর।

উত্তর খ):”সল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম হচ্ছে ব্লটুথ।

ব্লটুথ হচ্ছে তারবিহীন পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক যা সল্প দূরত্বে ( ১০সে.মি-১০০মি) ডেটা আদান প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়।ব্লটুথ এর মাধ্যমে দুই বা ততোধিক যন্ত্রের মধ্যে তারবিহীন যোগাযোগ রক্ষা করে ডেটা আদান প্রদান করা যায় ।ব্লটুথ যন্ত্রপাতির সুইচ অন করার সাথে সাথে স্বল্প দূরত্বের মধ্যে স্বয়ক্রিয়ভাবে ডেটা আদান-প্রদান করা যায় ।

গ)উদ্দীপকের আলোকে চাঁদে ভ্রমনের প্রযুক্তিটি বর্ণনা কর।

উত্তর গ): উদ্দীপকের আলোকে ডা. এনামের চাঁদে ভ্রমনের অনূভূতি অনুভবের প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সেই প্রযুক্তি যা ত্রিমাত্রিক বিশ্ব সৃষ্টি করে এবং যার দৃশ্যমানতা বাহক জীবন্ত।প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্যেগকারী যোগান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা বলে।ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রিমাত্রিক চিত্রভিত্তিক ছবি ব্যাবহার করা হয়।ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যাবহারকারী সম্পূর্ণরূপে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিমজ্জিত হয়ে যায়।ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে কম্পিউটার দ্বারা সিমুলেশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে বিমূর্ত বস্ত বা ধারণার উদ্দীপক উপস্থাপন করা হয় ।ডা . এনাম ত্রিমাত্রিক স্কীন সম্বলিত একটি হেলমেট  ও চশমা পরে এবং তার মধ্য দিয়ে বাস্তব থেকে অনুকরণকৃত অ্যানিমেটেড বা প্রাণবস্ত ছবি দেখে।একটি গতি নিয়ন্ত্রনকারী সেন্সর দ্বারা কৃত্রিম জগতে ভ্রমনের গতি প্রভাবিত করা হয় ।গতি নিয়ন্ত্রনকারী সেন্সর িএর মাধ্যমে স্কীন এ প্রদর্শিত ছবির গতিকে এনামের গতির সাথে মেলানো হয় ।এনামের গতির পরিবর্তনের সাথে সাথে স্কীন-এ প্রদর্শিত গতির ও পরিবর্তন ঘটে। এভাবে ডা. এনাম ত্রিমাত্রিক জগতের সাথে মিশে যায় এবং সেই জগতের একটি অংশে পরিণত হয় ।

সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, ফ্রান্সের বিনোদন পার্কে এসে ডা. এনাম হেলমেট ও বিশেষ চশমা পরিধান করে চাঁদে ভ্রমনের অনূভুতি অনুভব করেছিল।

ঘ)উদ্দীপকে ট্রেনিং সেন্টার ও অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত প্রযুক্তিদ্বয়ের মধ্যে কোনটি আমাদের দেশে বহূল ব্যাবহৃত-বিশ্লেষনপূর্বক মতামত দাও।

উত্তর ঘ):উদ্দীপকে ট্রেনিং সেন্টার ও অপারেশন থিয়েটারে ব্যাবহৃত প্রযুক্তিদ্বয় হচ্ছে ফিংগারপ্রিন্ট ও আইরিশ রেটিনা স্ক্যান।উভয় প্রযুক্তিই হলো বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির প্রকারভেদ।ফিংগার প্রিন্ট ও আইরিশ রেটিনা স্ক্যান আমাদের দেশে এ দুইটি পদ্ধতির মধ্যে বহূল ব্যবহৃত পদ্ধতি হচ্ছে ফিংগারপ্রিন্ট।

বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি হলো কোনো ব্যাক্তির শারীরিক গঠন,আচার-ব্যবহার-গুণাগুণ,ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি পরিমাপের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে সনাক্ত করার প্রযুক্তি।

উদ্দীপকের ডা. এনাম ট্রেনিং সেন্টারে প্রবেশ করতে সুপারভাইজারের আঙ্গুলের ছাপ ব্যাবহার করেন। এ ক্ষেত্রে ফিংগার প্রিন্ট রিডার হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যার সাহায্যে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ডেটাবেজে সংরক্ষন করতে হয়েছে।ফিংগার প্রিন্ট রিডার হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যার সাহায্যে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ইনপুট হিসাবে গ্রহন করে পূর্বেও সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপের সাথে মিলিয়ে ব্যক্তিকে সনাক্ত করে।ফিংগার প্রিন্ট রিডার এক্সটারনাল ডিভাইস হিসাবে পাওয়া যায় বা ইউএসবি পোর্টে সংযোগ করতে হয়।ফিংগার প্রিন্ট রিডার ত্বকের টিস্যু ও ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালনের উপর ভিত্তি করে আঙ্গুলের ছাপ রিড করে।এ পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন নিরাপত্তা সিস্টেমে প্রোগ্রাম বা সামাজিক যোগাযোগ সাইটে প্রবেশের ক্ষেত্রে,বিভিন্ন অফিসে পেমেন্ট করা হয়ে থাকে।এত খরচ তুলনামূলকভাবে কম,ব্যক্তি সনাক্তকরনে কম সময় লাগে এবং সনাক্তকরনের বিশ্বাযোগ্যতা প্রায় শতভাগ।আবার আইরিস সনাক্তকরণ পদ্ধতিতে চোখের তারার রঙিন অংশকে পরীক্ষা করে সনাক্ত করা হয়।উভয় পদ্ধতিতেই চোখ ও মাথাকে স্থির করে একটি ডিভাইসের সামনে দাঁড়াতে হয়।এতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড সময় লাগে।এই পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যায়বহূল এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা যেমন সরকারী গুরত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ,মিলিটারি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদীতে ব্যাবহার করা হয়্সুতরাং বলা যায় যে, আমাদের দেশে আইরিস বা রেটিনা স্ক্যানের তুলনায় ফিংগার প্রিন্ট বহূল ব্যাবহুত একটি প্রযুক্তি।

Exit mobile version